Friday, August 17, 2018

বারি পূজা/ যাতাল/ মনসা পূজা


বারি পূজা র(মনসা) প্রকৃত/ উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা ও বৈজ্ঞানিক কারন:-

==============================
       লেখা - সঞ্জয় কুমার মাহাত( হিন্দোইয়ার)
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
 আপনি জানেন কি? কুড়মি সমুদায় এর প্রত্যেক পরব - তিহার,পূজা - পাঠ, নেগ - নেগাঁচার এমন কি খাওয়া - দাওয়ার মধ্য দিয়েও কিছু না কিছু কারন লুকিয়ে আছে।। তা কেও জানার প্রয়োজন মনে করে না।ওই চলছে আর চলছে কিন্তু কি কারনে যে করে কেন করে, কি উদেশ্য কেও জনেই না।।                                                     ••আজ বারি পূজা/ মনসা পূজা নিয়ে কিছু কথা :-
                 বারি অর্থাৎ জল,বারি পূজা একচুয়েলি জল দেবীর / জল শক্তির পূজা।যা বর্তমানে  মনসা পূজা বা সর্প দেবীর পূজা নামে সবাই জানে। বারি পূজা( মনসা) বিশেষত চাষ আবাদ শেষ হওয়ার পরেই অর্থাৎ রূপা মাসের শেষের দিকেই পালন করা হয়ে থাকে।কিছু কিছু পরিবারে দেখা যাই চাষ আবাদ শেষ না হলে এই পূজা করেই না। তা হলে এখানে বুঝা যাচ্ছে এটা একটা কৃষি কেন্দ্রিক পূজা।                                                     চাষ আবাদ/ কৃষি কর্মএর সঙ্গে জলের গুরুত্ব বা জলের প্রয়োজন সর্ব প্রথমে আসে।আর জলের মধ্যে অনেক জীব - জন্তু,কীটপতঙ্গ থাকে সেগুলি জল ব্যতীত বেঁচে থাকা অসম্ভব এবং ওই জীব জন্তু গুলি বেঁচে থাকারও প্রয়োজন আছে।যেমন কেঁচো চাষের সঙ্গে অঙ্গা অঙ্গী ভাবে জড়িত।জলের মধ্যে থাকা জীব - জন্তু গুলি বাচার সাথে সাথে আমাদের প্রধান সম্পদ চাষ আবাদ/ ফসল রক্ষা করে একমাত্র জল( বারি) ।এক কথাই বলা যায় জল ছাড়া চাষ আবাদ করা অসম্ভব।সে কারণেই আমাদের পূর্ব পুরুষেরা বংশ পরম্পরা চাষের শেষে জল দেবী কে সন্মধন জ্ঞেপণ বারি পূজা অর্চনা করে আসছে আদি কাল থেকেই ।যা বর্তমানে মনসা পূজা নামে জানা যাই।
     বর্তমান সময়ে বারি পূজা(মনসা) ব্রামনের কুটিল সড়যন্ত্রে ওদের লাভের জন্য ওদের যাতে "দান - মান - সন্মান" বজায় থাকে সেকারণে মনগড়া/ কাল্পনিক কাহিনী সাজিয়ে ধর্মের নামে আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে ওদের সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে এক বিশাল মানব রুপী মূর্তি মনসার সৃষ্টি করেছেন।যা বাস্তবিক "বারি পূজার" সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।বারি পূজা কোন নতুন প্রথা নয়।এটা আমাদের পূর্ব পুরুষদের সময় থেকেই চলে আসছে,কিন্তু বর্তমানে যে মনসা মূর্তি পূজার বাড়বাড়ন্ত যা ৪০-৫০ সাল আগে হত না।তাই বলছি লোক দেখানো ফালতু খরচ খরচা থেকে বাঁচুন এবং শ্রদ্ধা থেকে মন থেকে ওই প্রকৃতি রূপকে ধন্যবাদ জ্ঞেপন "বারি পূজা" আরাধনা করুন ।
  
 •• বারি(মনসা) পূজাতে হাঁস বলির কারন:-
        আমাদের কৃষি কার্য জল ছাড়া সম্ভব নই।চাষের সময় আমাদের মাঠে - ঘাটে,খেতে - ক্ষামারে,নদী - নালা, বাঁধ - পুকুরে কাজ করতে হয়।বর্ষার সময় জলের মধ্যে অনেক ছোট বড় কিট - পতঙ্গের সঙ্গে দেখা/ মুলাকাত হয়ে থাকে এবং অনেকে কিট - পতঙ্গের শিকারও হয়ে যায়,এবং এখনো দেখা যায় চাষের সময় মাঠে - খেতে,নদী - নালাতে কৃষক গণ অনেক সময় জল পান করে থাকে।আগেতো অধিকাংশই চাষের সময় খেতে - নদী - নালাতে - পুকুরে জল পান করত।তাই মাঠে ঘাটে থাকা জীব জন্তুর বিষ থেকে বাঁচার জন্য চাষের শেষে হাঁসের মাংস  "বারি পূজার" সময় খেয়েথাকে।হাঁসের মাংস ও রক্ত মেডিসিনের মত কাজ করে।আপনারা শুনে থাকবেন হাঁসের মাংস ও রক্ত "লিভার টনিক" এর কাজ করে,এবং পেটের মধ্যে থাকা কৃমি কে নষ্ট করে।জলের মধ্যে থাকা "জোক" যদি  মানুষের শরীরে লেগে যায়,তাহলে জোক মানুষের রক্ত চুষে খাই এবং শরীর থেকে সহজে উঠে না।কিন্তু সেখানে হাঁসের রক্ত প্রয়োগ করলে সহজেই উঠে যায়।তাই আমাদের পূর্ব পুরুষেরা চাষের শেষে বারি পূজার সময় হাঁস বলির প্রথাটা প্রচলন করেছেন ।

•• মূর্তি পূজার লাভ/ লোকসান:-

       এখন প্রতি গ্রামে গ্রামে মিনিমাম ৪-৫ জায়গাতে কম করে এর বেশিও হতে পারে মনসার মূর্তি পূজা করে থাকে ।আজকাল ত কম্পিটিশন করে মূর্তি পূজা হচ্ছে কাদের মূর্তি কত বড়।তাহলে চার - পাঁচ টি মূর্তির বিসর্জন করা হয়, তাহলে কম করে এক ট্রাক্টর মাটি আমাদের জলাশয়ে বা পুকুরে দেওয়া হচ্ছে, তা আবার প্রতি বছর।এর ফলে পুকুরের গভীরতা দিন দিন কম হচ্ছে।।অন্য দিকে আমাদের কুড়মি সংস্কৃতি নেগাচারিতে বারি পূজাতে কেবলমাত্র কিছু তুলসী আর বেলপাতা এবং কিছু ফুল দিয়ে করা হয়।যা বিসর্জন করলে জল শুদ্ধ হযে যায় এবং শেষে পাতা গুলি পঁচে মাছের খাবার হয়ে যায়,এতে করো কোন লোক শান নেই।
   •••এই সব নেগ নেগাচার গুলো সব বুড়া বাবার দান| " জয় বুড়া বাবা" জয় গরাম" জয় বুড়ি মাঁয়"

1 comment: